দলের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জাতির সামনে তুলে ধরা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যার ফলে কারা এই ভয়াবহ ঘটনার পেছনে এবং পরিকল্পনাকারী ছিল ও লাভবান হয়েছে তা জাতি এখনো জানতে পারেনি। এসব উদ্ঘাটিত হয়নি।’
রাজধানীর পিলখানার বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদকিদের সাথে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মতো তাদের দলও মনে করে যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় দিন। এ দিনে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এসেছিল।
‘আমরা বিশ্বাস করি সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এ ঘটনার মূল কারণ ছিল তাদের (সেনাবাহিনী) দুর্বল ও মনোবল ভেঙে দেয়া,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
ফখরুল ২৫ ফেব্রুয়ারির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ‘আমরা এই দিনে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানাই।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল কবরস্থানে যান এবং স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেই সাথে তারা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রুহুল আলম চৌধুরী, ফজলে এলাহী আকবর, কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, সারোয়ার হোসেন ও মাহমুদুল হাসান।
২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা সদরদপ্তরের দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। তাদের হাতে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও আরও ৫৬ সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।