বুধবার রংপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসভা হবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
মঙ্গলবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি আগাম প্রতিনিধি দল।
দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে কাদের বলেন, ‘রংপুরে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় জনসভা।’ ‘এখানকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এবং তার কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বিকাল ৩টায় জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় হেলিকপ্টারযোগে বিকাল সাড়ে ৩টায় রংপুরে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। তারপর তাকে জনসভাস্থলের একটি বড় নৌকা আকৃতির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে।
সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, আমরা অস্ত্রের ওপর নয় জনগণের উপর নির্ভরশীল। আমরা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করি না। আমাদের শক্তি দেশের জনগণ।’
আরও পড়ুন: ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
তিনি আরও বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দুর্বৃত্ত, স্বৈরাচারী, অর্থপাচারকারী, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করা। ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমি এই ধরণের লোকদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত শত শত অস্থায়ী গেট, ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারে সাজানো হয়েছে পুরো রংপুর।