বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বিকাল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
আজ দিনভর ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অনেক কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের কোনো সারি ছিল না। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিতি থাকলেও ভেতরে ভোটারদের খুব একটা দেখা মেলেনি।
মহানগরীর একটি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ভোট পড়ে মাত্র ১৩টি। চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক কেন্দ্রে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য জানা যায়। মোট তিনটি কেন্দ্র ছিল এ কলেজে। তিনটি কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি বেশ কম দেখা গেছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে নয়টি বুথ রয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এই কেন্দ্রে মোট তিন হাজার ৪৭৯ জন ভোটার আছেন।’
বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। এ জন্য ভোটার উপস্থিতি কম।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন নগর পিতা?
চসিক নির্বাচন: ৫৬ এজেন্টকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর
এদিকে, সকাল ১০টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় নির্বাচনি সহিংসতার সময় গুলিতে আলম মিয়া নামে এক যুবক নিহত হন।
এছাড়া লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী এস কবির মানিকের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।
একই সময়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আহত হন অন্তত সাতজন। সেখানে একজন মারা যান।
দুপুর ২টার দিকে নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবছার মিয়া ও বিদ্রেহী জহিরুল আলম জসিমের সমর্থকদের বিশ্ব কলোনী কোয়াক স্কুল কেন্দ্র দখলে নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।