শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মন্ডল (৬২) সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকার মৃত আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে। বাদশা মন্ডল ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রাজ্জাক মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাদশা মন্ডল তার বাড়িতে মাদকের আসর বসিয়েছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে তার বাড়ি তল্লাশি করে দোনলা বন্দুকের ২১টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
তবে বাদশা মন্ডলের দাবি, আগে তার একটি দোনলা বন্দুক ছিল। ওই বন্দুকের লাইসেন্স গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাতিল করে জেলা প্রশাসন। তখন ওই বন্দুকের সাথে গুলিগুলো জমা দেয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, বাদশা মন্ডল থানা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার পর এলাকায় স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও তার বাড়িতেও মাদকের আসর বসে।
অন্য এক সূত্র জানায়, বাদশা মন্ডল নিজের বাড়ি ছাড়াও ঢাকায় তার আটতলা বিশিষ্ট একটি ভবন ও সদরঘাট এলাকায় একটি খাবার হোটেলসহ আবাসিক হোটেল রয়েছে।
বাদশা মন্ডল এত সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার বলেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর বন্দুকের সাথে সাথে গুলিগুলো জমা না দিয়ে আইনত অপরাধ করেছেন বাদশা মন্ডল।
এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, বলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনূর রহমান বলেন, রবিবার বিকালে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত আগামী মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করে বাদশা মন্ডলকে জেলা হাজতে পাঠিয়েছেন।