তিনি বলেন, ‘লেলিন, চে গুয়েভার, মাও সেতুং, হু চি মিন কিংবা কার্ল মার্কসসহ বরেণ্য অনেক বিশ্ব নেতৃত্বকে অধ্যয়ন করেছি। কিন্তু বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো সব গুণের অধিকারী একজন নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
মুজিব জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সোমবার রাতে এক ওয়েবিনারে ডাক ভবনে বিসিএস পোস্টাল অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবলমাত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং রাজনীতিবিদ। শেখ মুজিব ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত দুটি রাষ্ট্র গঠনের বিপরীতে একটি ভাষাভিত্তিক আধুনিক জাতিরাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী স্বপ্ন দেখেন। ভাষাভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা তখন ইউরোপ, জাপান, কোরিয়া বা চীনের বাইরে প্রসারিত হয়নি। এ অঞ্চলে ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্র ধারণা ছিল অকল্পনীয় বরং পাকিস্তান ও ভারত তৈরি হয় সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জনগণকে সংগঠিত করে জনগণকে সাথে নিয়ে জনযুদ্ধ করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পাশ কাটিয়ে ১৯৪৭ সালে দুটি রাষ্ট্র গঠন সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত ছিল উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, পূর্ব বাংলা থেকে সিলেট যাতে খণ্ডিত না হয় তা রুখতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়তে সিলেট গিয়েছিলেন।
মন্ত্রী কাজের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ডাক কর্মকর্তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ও বিসিএস পোস্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেসান ইসলাম বক্তব্য দেন।