সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইতোপূর্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখনও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটের একটি পৌরসভায় বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে। ‘এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। এ রকম অনেক জায়গায় বিএনপি হামলা চালিয়েছে। সেখানে প্রতিনিধি প্রার্থীদের মধ্যে নানা জায়গায় নানা ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: কোভিডের বছরেও দেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বসেরাদের অন্যতম: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এখানে সিদ্ধান্ত কেউ না মানলে দল সব সময় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অতীতে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভের পরও এবার নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পায়নি। তারা যেহেতু বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন সেই বিবেচনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
‘একইসাথে অতীতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদের দলীয় পদবী কেড়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং এখন ও ভবিষ্যতে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অতীতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের দলের কোনো পদ দেয়া হয়নি। সাধারণ ক্ষমা দেয়ায় তারা দল করতে পারছেন। কিন্তু দলের কোনো পদে তারা ফেরত যেতে পারেননি।
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া গত শনিবার দেশের ৬০ পৌরসভায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাক ভোটার উপস্থিত ছিল। কোনো কোনো পৌরসভায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিত ছিল। সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি ভোটার ছিল। এমনকি ইভিএম পদ্ধতিতেও ৫৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি ছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেও বলে কথা বলার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পার্শ্ববর্তী দেশের নির্বাচনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব ভারতে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিল। সে তুলনায় আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররে বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য বিএনপির দেয়াটা স্বাভাবিক। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য বিএনপি এ বক্তব্য দিয়েছে। প্রথম দফার ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার দুর্বলতা ঢাকার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন:বিএনপির মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠলে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে বাস্তবতা অনুধাবনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা নিলে বিএনপি লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি: তথ্যমন্ত্রী