তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার একটি অবৈধ সরকার। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে এবং গণতন্ত্রের সকল সম্ভাবনা নষ্ট করে দিয়েছে। তবে এটিই শেষ নয়।’
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তাদের (সরকার) নির্বাচন (মার্কিন) পর্যালোচনা করা উচিত। আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা লোকদের আমেরিকার নির্বাচন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসন উপনির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তুলে ধরতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কর্তৃপক্ষ সকল চাপের মধ্যে থেকেও পুরোপুরি অবিচল ছিল এবং জনগণের রায় বহাল রেখেছে। ‘এটাকে বলা হয় গণতন্ত্র।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং জনগণের কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।’
ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসন উপনির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং তাদের পরিবারকে এলাকায় থাকলে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বিএনপি প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা জনগণকে বলতে চাই যে অবশ্যই এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’