সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফার) জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিচারিক আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল এবং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এ আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস, মাদরাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে, এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে আদালত।
মামলায় সাঈদীসহ মোট ছয়জন আসামি। অপর পাঁচজন হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় মানিকগঞ্জে শিক্ষক গ্রেপ্তার
আসামিদের মধ্যে সাঈদী কারাগারে, আজাদ ও আব্দুল হক পলাতক এবং অপর তিন আসামি জামিনে আছেন।
এ মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছিল। তবে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংস্থাটির সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরে-বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফারুক হত্যা: জামায়াত নেতা সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মামলার নথি অনুযায়ী জাকাতের এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ নিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।