সরকারের নজরদারির অভাবে যাত্রাপথে দুর্ভোগ-ভোগান্তির কারণে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনন্দ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যবস্থা, বিশেষ করে ট্রেনের কথা এগুলো দেখাশোনা করার কোনও অথরিটি আছে—সেটাই মনে হয় না। আমরা দেখছি কীভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রেনের সময়সূচী বিপর্যয়, দেরি করে যাওয়া, এতে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসলে কোথাও সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। মানুষের এই যে দুর্ভোগ-ভোগান্তি, তাদের কোনও আনন্দ নেই।’
তিনি আরও বলেন, সরকার সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য দুর্নীতি করা এবং প্রকৃতপক্ষে দেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।’
রবিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ দলের নেতারা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
সেখানে তারা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুতের উৎপাদন নিয়ে সরকার বড়াই করেছে, এখন প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এর মূল কারণ দুর্নীতি।’
তিনি বলেন, অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রকল্প স্থাপনের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়নি এবং একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে অভিযোগ উঠলেও কোনও মামলা করা যাবে না। ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানে সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই। তারা শুধু এলএনজি আমদানি করে দু-একটি কোম্পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এসব দুর্নীতি করেছে। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে—বাংলাদেশকে লুট করার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করে। প্রকৃতপক্ষে এই সরকার লুটেরা সরকার এবং আওয়ামী লীগ একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, দেশে প্রকৃতপক্ষে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। দেশে প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।