জিয়াউর রহমান
গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান আর নেই
রাজধানীতে চলমান জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এর ১২তম রাউন্ডের ম্যাচ খেলার সময় মারা গেছেন গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের হলরুমে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গীতিকার, সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন আর নেই
তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
শুক্রবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে খেলতে হঠাৎ দাবার বোর্ডের ওপর পড়ে যান তিনি।
ঘটনার পরপরই তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের ধারণা, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৪ সালের ১ মে একটি দাবা খেলার সঙ্গে জড়িত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও একজন জাতীয় দাবা খেলোয়াড়। ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার হন জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিএনপির সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা আর নেই
অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
৪ মাস আগে
জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (৩০ মে)।
মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
বুধবার (২৯ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা করেন জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিক্ষুব্ধ সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া ওইদিন সকাল ১০টায় দলের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা জিয়ার কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন।
আগামী ৩১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো জিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে।
দলের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতারা বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবেন।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই মহান উদার গণতান্ত্রিক নেতা জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতি একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতাকে হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
৫ মাস আগে
জিয়াউর রহমান কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলে। জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমারা ঘুরে দাঁড়ালাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে।
দিনাজপুর সফর সম্পর্কে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমি ধান চালের এই অঞ্চল দিনাজপুরে এসেছি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলব, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চাই।
তিনি বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬ দশমিক ৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে আমরা শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা: নানক
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
৫ মাস আগে
শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারের আওতায় আনা হলে শেখ রাসেল ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা আরও পূর্ণতা পাবে।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক এখন সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেখবেন গণহত্যার সময় বাড়ির সিঁড়ির নিচে আশ্রয় নেওয়া শেখ রাসেলকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন শেখ রাসেল বলেছিল, ‘আমি আমার মায়ের কাছে যেতে চাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘাতকরা তাকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ সেদিন খুনিরা কতটা নৃশংস ছিল, এই হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ।
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্যতম প্রধান হোতা। তারা হত্যার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা আবির্ভূত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি। রবিবার বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এসব পাঠাগারের উদ্বোধন করেন।
এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, যশোর ও রাজবাড়ীতে দলের কার্যালয়ের ভেতরে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সকলকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবে যারা আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের অনেকেই জেলাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করেছেন এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার, এই সরকার কিন্তু পাঠাগার ধবংস করেছে। আপনারা কতটুকু জানেন জানি না, আমি জানি আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্ধ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একটা আছে, সেই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে আপনারা যে আজকে ১৫ টা জেলায় পাঠাগার আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব উদ্বোধন করলেন, এটাকে আন্দোলনের পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। এখানে আমার রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই পাঠাগারকে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেন প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণ করতে পারে সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বিএনপি সেই দল, যে জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে।’
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম সভাপতিত্বে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনলাইনে যুক্ত থাকার ১৫ টি জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুযেল, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
১ বছর আগে
জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে সরকার জেগে উঠেছে।’
আমরা আশা করি, আমরা নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা, বাংলাদেশ রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে জয়ী হতে পারব।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একদলীয় শাসনের অন্ধকার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোয় নিয়ে আসেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলের নেতারা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
পরে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল।
এ দিন জিয়াউর রহমানের পোস্টারও প্রকাশ করে বিএনপি। তারা জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখে।
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
১ বছর আগে
জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান শুধু প্রাসঙ্গিকই নয়, গুরুত্বপূর্ণও। এ কারণে আমরা দলের পক্ষ থেকে দিবসটি স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
তিনি বলেন, আসুন আমরা সেই ব্যক্তিকে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, যিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং যিনি আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন।
এছাড়া আমরা একটি স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আবাস গড়তে দিবসটি উদযাপন করব।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু তারা একথা পুরোপুরি ভুলে গেছে এবং ধ্বংস (ইতিহাস) করেছে। এ চেতনা একটি মুক্ত সমাজ এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ছিল, কিন্তু তারা তা ধ্বংস করেছে।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে, ইতোমধ্যে পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন অপরাধীদের নির্যাতনে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী মারা গেছেন। এছাড়া ১৫ বছরে বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকে গুম করা হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৩৪-৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে এবং এখনও রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির, শিমুল বিশ্বাসসহ এক হাজারের বেশি বিএনপি নেতা কারাগারে রয়েছেন।’
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকাল ৩টায় জিয়ার স্মরণে বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৭ জানুয়ারি মহিলা দল, ২১ জানুয়ারি শ্রমিক দল, ২২ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২৩ জানুয়ারি কৃষক দল, ২৪ জানুয়ারি যুবদল এবং ২৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দল-এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে একটি চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে উলামা দল আয়োজিত মিলাদ মাহফিলও অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর-দক্ষিণ) ১৯ জানুয়ারি শীতবস্ত্র বিতরণ করবে।
আগামী ২০ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণকারী জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে তার দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের ৭ম রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ
১ বছর আগে
জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এর ব্যানারে সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় গেলে তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে 'মায়ের কান্না' সংগনের সংগঠকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কামরুজ্জামান লেনিনের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান, যিনি পরে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ‘অন্যায্যভাবে’ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদনে, ‘মায়ের কান্না’ আয়োজকরা লিখেছেন: ‘আমরা সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনার কাছে এসেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনি জিয়ার এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে এবং বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন সরকার এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে বিবেচনা করবে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার জোরদার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বাধীন গবেষকদের মতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর তার আদেশে ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা জানান, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ সম্পর্কে অনেকেই এখনও অবগত নন।
১৯৭৭ সালে ‘জাপানি রেড আর্মি কর্তৃক ঢাকায় একটি জাপানি বিমান ছিনতাই ও অবতরণ’- এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেনারেল জিয়ার অনুগত বাহিনী’ ঢাকায় একটি অভ্যুত্থানের নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শত শত অফিসারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জিয়া অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
‘মায়ের কান্না’-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
১ বছর আগে
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন উপলক্ষে রবিবার নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সকালে সারাদেশে দলের সকল কার্যালয়ে তাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
একই দিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এছাড়া দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ও সকল ইউনিট সারাদেশে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সংবাদপত্রে সম্পূরক প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সামরিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে। যা জিয়ার ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল।
বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে উদযাপন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর ফ্রন্ট সংগঠনগুলো একে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে আবারও বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী শাসনকে পরাজিত করতে হবে।’
২ বছর আগে
জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যেই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।'
সোমবার পয়লা আগস্ট বিকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নতুন রেল স্টেশনে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভোলার সংঘর্ষের ঘটনাকে বিএনপির আগস্ট ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, 'আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচ’শ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস এলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে, এবারও তারা সারা দেশব্যাপী নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ভোলায় তারা গন্ডগোল করেছে।'
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য 'পুলিশ দিয়ে সরকার আন্দোলন ঠেকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে' এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে তিনি কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে বিএনপি সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এটি আমরা জানি। তবে বিএনপিকে সেই সুযোগ দেয়া হবেনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, উনারা তো এখন একা মিটিং মিছিল করছে, আমরা তো এখনো শুরু করি নাই। মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে আমরা মাঠে নামলে বিএনপি কোথায় পালায় সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।'
শোকের মাস আগস্ট শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কি প্রমাণিত হয় ? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ এরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের অপচেষ্টাও হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় শক্তি এসবে মদদ দিয়েছিল।'
বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রসিডিংটি রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন, তারা জিয়াউর রহমান কোন অবস্থায় ছিল, খোন্দকার মোস্তাক কি অবস্থায় ছিল এগুলো বিস্তারিত বলেছেন। পাঁচ’শ বছর পরের প্রজন্মও যাতে ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারে সেজন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উম্মোচন হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক-উজ-জামান। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমার শঙ্কায় জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে