দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাজারের নিয়ন্ত্রকরাই এখন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে রমজানের শুরুতে বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, মানুষের চরম কষ্ট ও দুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত নয়, কারণ সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই।
‘সরকার অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্র এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না,’ বলেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রোজার মাসের জন্য গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজি প্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, মাংসের বেশি দামের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা ও সরকারি লোকজনের চাঁদা আদায়কে দায়ী করছেন। ‘তারা বলছেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এ চাঁদাবাজির অর্থ যাচ্ছে সরকারের ওপর মহলে। এছাড়া, আওয়ামী সিন্ডিকেট পবিত্র রমজান মাস এলেই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে ক্রেতারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ‘বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না বলে ঘোষণার পরদিন থেকেই প্রায় সব পণ্যে হু হু করে দাম বেড়েছে, দাবি করেন রিজভী।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির পক্ষ থেকে পাটকল শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’