একই সাথে মামলাটি বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভগ। তবে আপিল বিভাগের আদেশ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সাথে মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। আজ সেটির শুনানি হয়।
২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাটকলের প্রায় আড়াই একর জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার অপর আসামি হলেন- ওই জমির ক্রেতা বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ।