রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঐতিহাসিক এ দিনে, সৈনিক ও জনতা মিলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকার সেনানিবাসের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন; যা পরবর্তীতে তার ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করেছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটি পালনের জন্য সীমিত আকারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
দিবসটি পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এছাড়াও, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতারা দুপুর ১২টায় এবং উত্তর সিটি শাখার নেতারা সাড়ে ১২টায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
দিনটি উপলক্ষে বিকাল ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করবে দলটি।
এছাড়া বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছবির প্রদর্শনী এবং সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি ও জোট এ দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে উদযাপন করলেও, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর শীর্ষ অঙ্গসংগঠনগুলো একে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যার’ দিন হিসেবে মনে করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) একে বেসামরিক-সামরিক বিপ্লবের দিন হিসেবে পালন করে।