কোন এক অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় নি অতীতের কোন সরকার। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারই উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করেন, তাদের সুখ-শান্তি ও জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবেন। একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি আজ নিশ্চিহ্ন।
শুক্রবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
এসময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে রংপুর অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় ১০০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ।
তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে বাংলাদেশে ৭ম প্রশাসনিক বিভাগ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছেন। ৮টি জেলা, মোট ৩৩টি নির্বাচনী আসন নিয়ে আমাদের রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রতিবন্দ্বী সাধারণ জনগণ অনন্য সেবা পাচ্ছেন। একেই বলে মানবিকতা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় ‘পরশ’
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগকে এক সময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাদপদ ভাবলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। রংপুর বিভাগ এখন খাদ্য-শষ্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই বিভাগের অভাব দূর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইন এর কাজ চলছে। এই সকল কাজ রংপুর বিভাগের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
পরশ বলেন, রংপুর বিভাগ বিগত ১৩ বছরে পেয়েছে এক অনন্যরূপ। উন্নয়নের জয়যাত্রায় সমৃদ্ধ হয়েছে রংপুর বিভাগবাসী। আপনাদের এই কথাগুলো জনগণকে বলতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক সময়ের মঙ্গা-পীড়িত উত্তরাঞ্চল এখন সমৃদ্ধ জনপদ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রংপুরে কোন মঙ্গা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে আর মঙ্গা দেখা দেয় নাই, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় নাই, মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেখানে এক সময় খাবারের অভাবে মানুষ মারা যেত। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে।
এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী