রবিবার সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবিরের আদালতে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এদিন আরও চারজন সাক্ষীকে জেরার জন্য আদালতে হাজির করা হলেও তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। সোমবার পুনরায় এসব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার বিচার শুরু
আলোচিত এই মামলার সাক্ষী সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন রবিবার আদালতে হাজির হয়ে হামলার স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া এই মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু এবং কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরীর পুনরায় (রিকল) সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
এছাড়া মামলার অন্যতম সাক্ষী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ফাতেমা জামান সাথি, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জীবন, সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিব ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদের জেরার জন্য আদালতে হাজির করা হলেও তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ‘মেধাবী’ শান্ত শেষ পর্যন্ত জঙ্গি!
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মুজিদ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় মায়ের পাশ থেকে সন্তান চুরি করল ‘জিন’!
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার প্রায় এক যুগ পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নামোল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার সেই শিশুকে ‘বাবা-মা’ই হত্যা করে’ সাজিয়েছে গুমের নাটক
সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুুন: সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা