বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবিরের আদালতে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দিলে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক উভয় পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: এক আসামির মামলা বাতিল আবেদনের বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার
রিজভী সাফাই সাক্ষীতে বলেন, ঘটনার দিন ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট মামলার আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন তিনি সাতক্ষীরায় ছিলেন না।
আদালতের শুনানি শেষে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দিয়েছি। হাবিব নির্দোষ, কারণ তিনি সে দিন সাতক্ষীরায় ছিলেন না। আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সরকারপক্ষের আইনজীবী আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমরা সাফাই সাক্ষী রিজভীকে জেরা করেছি। আগামি ৬ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক প্রদর্শনের দিন ধার্য রয়েছে।’
এর আগে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকে সাতক্ষীরা আদালত চত্বরে দলের শত শত নেতা-কর্মী হাজির হন। ভিড় সামলাতে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
শেখ হাসিনা ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে আসেন। ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী রেখে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
এ মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কয়েকজনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।