তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ১০ জন উপদেষ্টার অধীনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছুই করার সুযোগ নেই।’
বুধবার দুপুরে গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে ১৪ দলের নেতাদের দ্বিতীয় দফায় তিন ঘণ্টার সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের তফসিল পেছানোর দাবিকে অজুহাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তফসিল পেছালে অশুভ শক্তির আবির্ভাব হবে এবং ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে কিন্তু সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিষয়ে, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আমন্ত্রণ ও রাজবন্দীদের মুক্তিতে কোনো আপত্তি নেই। তাদের এ দাবি পূরণে আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এসব দাবি পূরণ করা হবে।’
কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রীরা সরকারি বাসভবন, সার্কিট হাউজ, জাতীয় পতাকাসহ কোনো সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। এমপিদের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। ঐক্যফ্রন্ট নেতা এবং অন্যদের একই সুবিধা আমরা দেবো। নির্বাচন কমিশন এটা নিশ্চিত করবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, পাশাপাশি সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘যদি খালেদা জিয়া সত্যিকার রাজবন্দী হন তাহলে তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এবং এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।’
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।