তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নামে এ ধরনের নোংরা বিষোদগার, নোংরা আচরণ মানুষকে রাজনীতি সম্পর্কে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকার এ অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘কুৎসা রটনার’ প্রতিবাদে শনিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল দিনের পর দিন জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। তাই জিয়া ও পরিবারের বিরুদ্ধে এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাম্প্রতিক সময়ে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা বেরে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, গত ৯ মাসে এক হাজারেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যে কাজ করছে তাতে আপনাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। আগে নিজের ঘর সামলান, জনগনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।’
জিয়াউর রহমানের সাথে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের’ কোনো সংযোগ না থাকায় তাকে নিয়ে ‘কুৎসা রটনার’মঞ্চনাটক বন্ধের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ক্ষমতাসীন সরকার বিভিন্ন নাটক রচনা করেছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন, সেটা মানুষ নাটক বলেই মনে করে।
বিএনপি এ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা দেশজুড়ে নারী ধর্ষণ ও হয়রানির ঘটনায় জড়িত রয়েছে।
এমসি কলেজের ঘটনার পরে শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় আরেকটি ধর্ষণের ঘটনায় একজন ছাত্রলীগ নেতা জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। চারিদিক থেকে ধিক্কার উঠেছে- যেখানে নারীর সম্ভ্রমহানি সেখানেই ছাত্রলীগ। এসব ঘটনা ঢাকতে সরকারদলীয় লোকজন দিয়ে কিছু সস্তা নাটক তৈরি করছে, বলেন তিনি।