তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহায় নিয়ে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। এই বিএনপির আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব।’
শুক্রবার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এ হামলা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর নয়, বাংলাদেশের ওপর: হানিফ
বর্তমান সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার শূন্যের কোঠায় বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। পঁচাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদেরকে পুরস্কৃত করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। এরপরেও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে জাতি জানতে চায়।’
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতা-কর্মীরাই রাস্তায় নামেননি, কারণ তারা জানেন তাদের নেত্রী বেগম জিয়া, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ।
‘শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বেগম জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে তা জাতির বোধগম্য নয়,’ বলেন তিনি।
এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।