মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রায় কী হওয়া উচিত ছিল তা জনগণই ভবিষ্যতে বিচার করবে।
‘হাইকোর্টর রায় পুরোপুরি বিস্মিত করেছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রায়টি দেয়া হয়েছে এবং আমরা তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি এই অস্বাভাবিক রায়ে সরকারের ইচ্ছা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রায় প্রায় অভূতপূর্ব। এতে আমাদের নেত্রীর কারাদণ্ড পাঁচ থেকে ১০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সরকার আদালতকে ‘ব্যবহার’ করে বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
‘এটা পরিষ্কার যে সরকার কোনোভাবেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আগ্রহী নয়। তারা আমাদের নেত্রী (খালেদা) এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতার অভিযোগ, তাদের অসুস্থ চেয়ারপার্সনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকেও এমন শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শাস্তির মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সেই থেকেই তিনি কারাবন্দী রয়েছেন। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসাধীনে আছেন।