গ্যালারি কসমসের এক্সিকিউটিভ আর্ট ডিরেক্টর সৌরভ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘কালিদাস কর্মকার রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় দুপুর দেড়টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাথরুমে পড়ে যান। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মরদেহ বারডেম হাসপাতালে রাখা আছে। দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসার পর তার শেষকৃত্য করা হবে।
গ্যালারি কসমসের একজন উপদেষ্টা ছিলেন কালিদাস কর্মকার।
১৯৪৬ সালের ১০ জানুয়ারি ফরিদপুরে জন্ম নেয়া কালিদাস ১৯৬৯ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন।
তার আগে তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা শেষ করেন।
চারুকলায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কালিদাস কর্মকার ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক ও ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তার বিচিত্র সব শিল্পকর্ম দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।
বরেণ্য এ শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে।
তিনি ওয়ারশ ইউনিভার্সিটির ওয়ারশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসে গ্রাফিক আর্ট বিষয়ে পোল্যান্ড সরকারের বৃত্তি, প্যারিসে আতেলিয়ার-১৭-তে গবেষণার জন্য ফাইন আর্টসে ফরাসি সরকারের উচ্চতর বৃত্তি, টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড মিউজিকে জাপানিজ উডব্লক প্রিন্টিং বিষয়ে জাপান ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, পশ্চিমবঙ্গ ললিতকলা একাডেমি স্টুডিওতে গবেষণার জন্য আইসিসিআর বিশেষ বৃত্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ান কালচারাল কাউন্সিল নিউইয়র্ক ফেলোশিপ লাভ করেন।
তিনি ২০০৬ সালে ব্রুকলিনে পয়েন্টবি ওয়ার্কলজে রেসিডেন্সিতে অংশ নেয়ার জন্য এসিসি ফেলোশিপ পান।