শনিবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিত্সার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছে তবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এই রোগটির দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে যেখানে জীবন রক্ষামূলক চিকিত্সা সেবা সহজলভ্য নয়।’ খবর: ইউএন নিউজ।
একটি নিরাশার চিত্র:
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত (২০১৪ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে ডায়াবেটিসের হার ৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮.৫ শতাংশ।
এই সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণগুলোও বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা।
ডায়াবেটিস অন্ধত্ব, কিডনির সমস্য, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান কারণ। আর করোনা মহামারি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে যাদের নিয়মিত যত্ন এবং চিকিত্সার প্রয়োজন।
সামনেই আশা:
জাতিসংঘ বলছে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং ধূমপান না করার মাধ্যমেই টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা বিলম্ব করা সম্ভব, যাকে আগে নন-ইনসুলিন-নির্ভর বা প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস বলা হতো।
ওষুধ এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ছাড়াও জটিল এই রোগের চিকিত্সা করা যায় এবং এর পরিণতি এড়ানো বা বিলম্বিত করা সম্ভব।
গুতেরেস জানান, আগামী বছর ডব্লিউএইচও বৈশ্বিক ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট চালু করছে যা ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে একটি নতুন উদ্যোগ এবং আমাদের পরিপূরক প্রচেষ্টার কাঠামো ও সমন্বয় বয়ে আনবে।’
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসাথে কাজ করি এটি নিশ্চিত করার জন্য যে, এই উচ্চাভিলাষী এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা শিগগিরই জনস্বাস্থ্যের সমস্যা হিসেবে ডায়াবেটিসের হ্রাস নিয়ে কথা বলব।’
নার্সদের ভূমিকা:
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২০-এর মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘নার্স এবং ডায়াবেটিস’, যার লক্ষ্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার জন্য এই স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মীদের অর্ধেকেরও বেশি নার্স, যারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের জীবনযাপনে সহায়তা করছেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন এবং তাদেরকে সহায়তা করার জন্য নার্সদের দক্ষ করে তুলতে শিক্ষা জরুরি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আসুন আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার, সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত এবং সকলের প্রতি নমনীয়তা বাড়াই।’