ডায়াবেটিস
সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা হালনাগাদ কমিটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার প্রজ্ঞার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি ১৪ মে এক বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য "অ্যামালোডিপাইন ৫মিলি.’ এবং ডায়াবেটিসের জন্য ‘মেটফরমিন ৫০০ মিলি.’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ।
এটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ ও উচ্চরক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
উল্লেখ্য, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর অংশীদার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে যাতে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধক ওষুধের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান ওষুধের তালিকা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বহু মাস (২ থেকে ৩ মাস) হাইপারটেনসিভ ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করেছে যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ (৩০-৭০ বছর বয়সী) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।
উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
করোনা সেরে ওঠা রোগীদের ডায়াবেটিস, শ্বাসযন্ত্র ও কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার ঝুঁকি বেশি: গবেষণা
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেরে ওঠা রোগীদের পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস, শ্বাসযন্ত্র ও কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার ঝুঁকি বেশি।
মঙ্গলবার আইসিডিডিআর,বি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) যৌথভাবে ‘করোনার দীর্ঘমেয়াদী সিক্যুয়েলা: ঢাকা, বাংলাদেশ এ লংগিটুডিনাল ফলো-আপ স্টাডি’ শীর্ষক একটি প্রচার সেমিনারের আয়োজন করেছে। ‘লং টার্ম সিকুয়েল অব কোভিড-১৯: অ্যা লংগিটুডিনাল ফলোআপ স্টাডি ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন হয়। এছাড়া সেমিনারে ‘লং কোভিড ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন ফর ফিজিশিয়ানস’ শীর্ষক একটি নির্দেশিকাও উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গবেষণাটি ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর এর মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকার দুটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নেয়া রোগীদের নিয়ে করা হয়েছে।
প্রথম পাঁচ মাসের অংশগ্রহণকারীদের ফলো-আপের ওপর ভিত্তি করে ফলাফলগুলো সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের এই গবেষণা কার্যক্রমে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি (এসিটিবি) অর্থায়ন করেছে।
এশিয়ার মধ্যে এটি প্রথম গবেষণা যেখানে দেখা যায়, করোনা থেকে সেরে ওঠা ভোগীরা পরবর্তীতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে, যাকে পোস্ট-কোভিড-১৯ সিনড্রোম (পিসিএস) বা লং কোভিড হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
বিএসএমএমইউ’র ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহায়েল মাহমুদ আরাফাত, বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ, এবং আইসিডিডিআরবি’র নিউট্রিশন ও ক্লিনিক্যাল সার্ভি বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী ও প্রধান গবেষক ডা. ফারজানা আফরোজ প্রমুখ গবেষক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষকরা আরটি-পিসিআর নিশ্চিত করোনা রোগীসহ ১৮ বছরের বেশি বয়সী ৩৬২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করে।
করোনা-পরবর্তী তাদের জটিলতা নির্ণয় করার জন্য সেরে ওঠার ১ মাস, ৩ মাস এবং ৫ মাস পর ফলোআপ করা হয়। তাদের স্নায়ুবিক, হৃদযন্ত্র, শ্বাসযন্ত্র এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এছাড়া গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ২৪ মাসের জন্য ফলোআপ করা হবে।
গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ বছরের কম বয়সীদের তুলনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী সেরে ওঠা ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদযন্ত্রের জটিলতা (উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত হৃদকম্পন বা পা ফুলে যাওয়া) এবং স্নায়ুবিক (পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা হাত ও পায়ে অসাড়তা, ঝিমঝিম করা বা ব্যথা, স্বাদ ও গন্ধের অস্বাভাবিকতা) জটিলতা সম্ভবনা দ্বিগুণ।
এই রোগের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবগুলোও নারী পুরুষ ভেদে পৃথক, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে কোডিড-পরবর্তী জটিলতার প্রকোপ দেড় থেকে চার (১.৫-৪) গুণ পর্যন্ত বেশি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
হাসপাতালে ভর্তিকৃত এবং নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়েছিল এমন রোগীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার সম্ভাবনা হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া রোগীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বেশি পাওয়া গেছে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত গুরুতর কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করা সত্ত্বেও রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার (ব্লাড সুগার) সম্ভাবনা যাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি তাদের তুলনায় ৯ থেকে ১১ গুণ বেশি ছিল এবং তাই যারা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাদের বেশি ইনসুলিন প্রয়োজন হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া রোগীদের নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল প্রতি এক হাজার জনে ১০ জন। একইভাবে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন করে কিডনিজনিত জটিলতা (হাই ক্রিয়েটেনিন এবং প্রোটিনিউরিয়া) এবং লিভারজনিত জটিলতা (বর্ধিত লিভার এনজাইন) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।
বেশিরভাগ জটিলতা উভয় গ্রুপেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়।
তবে সুস্থ হওয়ার পাঁচ মাস পরেও শ্বাসকষ্ট, হৃদকম্পন, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়নি।
ফলাফলগুলো করোনা থেকে বেঁচে যাওয়াদের ক্রমাগত ফলোআপ এবং যত্নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
বয়স্ক এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার জন্য নিয়মিত ফলোআপ করা উচিত।
অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত চিকিৎসকদের জন্য লং-কোভিডের জন্য ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন উপস্থাপন করেন।
যা বিএসএসএমইউ ও আইসিডিডিআর,বি যৌথভাবে তৈরি করেছে।
বিএসএমএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি লং-কোভিড জটিলতা বোঝার ও সমাধানের জন্য আইসিডিডিআর,বি ও বিএসএসএমইউ এর বিজ্ঞানীদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক, বিএসএমএমইউ, আইসিডিডিআর,বি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭ ঠেকাতে সতর্ক দর্শনা চেকপোস্ট
১ বছর আগে
সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কারণ ব্যাখ্যা না করে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার, খালেদাকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছিল, প্রায় এক সপ্তাহ পরে তিনি একই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ বছর তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় খালেদাকে দ্বিতীয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৬ দিন চিকিৎসার পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। ২৫ অক্টোবর বিএনপি প্রধানকে এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
পরে, তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল এবং ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ শনাক্ত করা যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা পরবর্তী জটিলতা ও অন্যান্য কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে: বিএনপি
৩ বছর আগে
ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে ইনসুলিনও ফ্রি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) কর্তৃক বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিসের কারণে দেশের কমপেক্ষ ৬১ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। নন কমিউনিকেবল অন্যান্য রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ অন্যতম। ডায়াবেটিস রোগটি নিরবে শরীরে চলে আসে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষজনও অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বা ডায়াবেটিস নিয়ে তেমন একটা সচেতন নয়।
জাহিদ মালেক বলেন, একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের মাত্র ১২ ভাগ মানুষের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবার অনেক মানুষই চিকিৎসার টাকার অভাবে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যান না। এ বিষয়ে সবার জানা প্রয়োজন, শহর বা গ্রামের প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই এখন বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগের প্রায় সকল ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খুব দ্রুতই ডায়াবেটিস রোগের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামগ্রী ইনসুলিনও বিনামূল্যে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে পাওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাও মানুষ ঘরের পাশে থাকা যেকোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিকেই পাবেন।
আরও পড়ুন: ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও টিকা নেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আর এই কৃতিত্ব দেশের সকল মানুষের। দেশের অনেক দেশই এখনও করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছে। রাশিয়ায় দিনে হাজারও মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন অনেক নিরাপদ আছে। এর কারণ অনেক। হাসপাতালে সঠিকভাবে করোনার চিকিৎসা দেয়া, সরকারের অতি দ্রুত ভ্যাক্সিন ব্যবস্থা করা ও সেটি মানুষকে দেয়া অন্যতম। বিশ্ব থেকে ২১ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ডোজ হাতে এসে পৌঁছেছে। এ মাসেই আরও প্রায় চার কোটি ডোজ চলে আসবে। প্রায় আট কোটি ডোজ ভ্যক্সিন মানুষকে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ভ্যাক্সিন নিয়েছে। চার কোটি মানুষ ডাবল ডোজ ভ্যাক্সিন নিয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকেও নিয়িমিত ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে। ফাইজারের ভ্যাক্সিন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে রাখতে হয়। এজন্য সব স্কুলে ফাইজার ভ্যাক্সিন রাখতে না পারায় কেন্দ্র সংখ্যা তাপমাত্রা কেন্দ্র সামনের মাসগুলিতে প্রতি মাসে তিন থেকে চার কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন মানুষকে দেয়া হবে। এভাবে চললে আমরা দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারবো।
ঢাকার স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্র স্বল্পতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারছে না সভায় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা গতকালই আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুততম সময়ে আমরাই নির্ধারিত স্কুলগুলিতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিন দেবো।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। সভায় ডায়াবেটিস হলে তার জন্য করণীয়, চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই লাইফস্টাইল পরিবর্তনসহ জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা নিয়ে সভায় উপস্থিত আরও যারা বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আহমেদুল কবীর, এনসিডিসি এর লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব সায়েফ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফয়েজ উদ্দিনসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এ মাসেই তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি পরীক্ষা করা হলেও তিনি ভালো আছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।
সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ্য আছেন।
ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার (খালেদা জিয়া) সাথে কথা বলেছেন। তার ভাই শামীম ইস্কান্দারও তার সাথে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বিপদমুক্ত। তারা মনে করেন, তার জন্য কোন বিপদ নেই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
খালেদা জিয়ার গুরুত্বর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল তথ্য। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মিডিয়াকে কেন এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে হবে? তাদের উচিত ছিল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সনের শরীরের এক জায়গায় ছোট লাম্প আছে। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে বায়োপসি করার পর জাহিদ জানান, এই মুহূর্তে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুই বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯ রোগের ঝুঁকিতে ডায়াবেটিস রোগীরা
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন কারণ অনেক ডায়াবেটিস রোগী ‘কোভিড-১৯ এর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।’
৪ বছর আগে
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার যত ঝুঁকি, জেনে নিন
একটানা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪ বছর আগে