শহরতলীর ধরার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পেইজ ‘ফরিদপুর সিটি’-এর আয়োজনে এবং টাইমস বিশ্ববিদ্যালয় ফরিদপুরের সহায়তায় চতুর্থবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উদ্যোক্তারা ২০১৮ সাল থেকে এ উৎসবের আয়োজন করে আসছেন।
আজ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। সভাপতিত্ব করেন টাইমস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোহাম্মদ সাইফুল কবির, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিজভী জামান ও দেবাশীষ বিশ্বাস এবং ফরিদপুর সিটি পেইজের মডারেটর ইমদাদুল হক আলোচনায় অংশ নেন।
উৎসবে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন ধরন, আকার ও আকৃতির ঘুড়ি নিয়ে সমবেত হন। নয়ন তারা, কইরা, চিল, প্লাজো, রোহিঙ্গা, অ্যাঙ্গরিবার্ড, ডোল, ঈগলসহ বিভিন্ন নামের কয়েক শ ঘুড়ি পদ্মা নদীর বুকে সোনালী বিকালকে আরও বর্ণিল করে তোলে।
আরও পড়ুন: অমর একুশে গ্রন্থমেলা হবে, তবে সময় জানা যাবে পরে
প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
সেই সাথে হাজারো শিশু-কিশোর আর যুব ও অগ্রজদের পদচারনায় মুখর হয়ে ওঠে পদ্মার বালুচর।
ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা বলেন, এটি অবশ্যই ফরিদপুরের একটি অন্যরকম আয়োজন। এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সকল বয়সী মানুষ এক হয়েছে, এটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় মনসাপূজা অনুষ্ঠিত, বসেনি ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা
তারা বলেন, আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে এক দিনের জন্য হলেও তারা ছোট বেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে। করোনার এই সময়ে একটু হলেও আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে।
উৎসবের অন্যতম আয়োজক ‘ফরিদপুর সিটি’ ফেসবুক পেইজের ইমদাদুল হক বলেন, ‘আজকের এ ঘুড়ি উৎসব চতুর্থবারের মতো হচ্ছে। আমাদের শৈশবের স্মৃতিকে যাতে ভুলে না যাই সে জন্য বাঙালির সংস্কৃতির অংশ এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধ হয়নি আনন্দ মেলা, মেলায় ১ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল কবির বলেন, ‘এই ধরনের উৎসব আমাদের মনের খোরাক জোগায়। দেখে ভালো লাগছে যে করোনার সময়ে সবাই মাস্ক পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এ ধরনের আয়োজনকে জেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী