বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বিশেষ বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্য খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্য খাত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।’
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এ সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে। এ করোনা সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। এর ফলে, আমাদের দেশে এইডসের সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে,’ বলেন তিনি।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে যত পুরস্কার পেয়ে দেশকে বিশ্ববাসীর নিকট সম্মানিত করেছেন তার অধিকাংশই তিনি পেয়েছেন স্বাস্থ্য খাতের সফলতার জন্য। স্বাস্থ্য খাত ইতোমধ্যে পোলিও, টিটেনাস (ধনুষ্টংকার), যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ সময় এ কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রয়োগেও আগামীতে স্বাস্থ্য খাত সফল হবে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও এখন আর তেমন সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে।’
‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের এখন সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে রয়েছে। হাসপাতাল প্রস্তুতকরণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সবই এখন প্রস্তুত। তাই দ্বিতীয় ঢেউ চলে এলেও তাকে সামলানো কঠিন হবে না। তবে, দেশের মানুষকেও একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’
এদিকে, বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে এতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, প্রমুখ বক্তব্য দেন।