এদিকে, পূজা উপলক্ষে গত ২০ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন অভ্যন্তরে জেলেদের ১১ দিনের জন্য পাশ (অনুমতি) দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, দুবলারচরে এ বছর রাস মেলা হবে না। শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলবম্বীরা পূজা অর্চনা আর পূণ্যস্নানে অংশ নিতে পারবেন। অন্য কোনো ধর্মের মানুষ পূর্ণস্থানে যেতে পারবে না।
বিগত বছরগুলোতে রাসে যাওয়ার জন্য আটটি রুট থাকলেও এ বছর তিনটি রুট কমিয়ে পাঁচটি রুট চালু রাখা হয়েছে। নিয়ম মেনে পূণ্যার্থীদের রাসে আসা-যাওয়া করতে হবে। পূণ্যার্থীদের নিকট অবশ্যই নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। পূণ্যার্থীরা বন বিভাগের যে স্টেশন থেকে পাশ গ্রহণ করবেন এবং ফেরার সময় ওই স্টেশনে পাশ জমা দিয়ে সনদপত্র গ্রহণ করবেন। সকলকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সর্বাবস্থায় মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
বন কর্মকর্তা আরও জানান, দুবলারচরে রাস উপলক্ষে সুন্দরবন অভ্যন্তরে ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেদের মাছ ধরা পাশ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সুন্দরবনে থাকা সব জেলেরা উপকূলে ফিরে এসেছে। এই মুহূর্তে সুন্দরবনে কোনো জেলে নেই। রাসকে ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
রাস উৎসব উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু জানান, প্রায় ২০০ বছর ধরে দুবলারচরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। করোনার কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে দুবলারচরে এ বছর রাস উৎসব স্বল্প পরিসরে করা হচ্ছে। ধর্মীয় রীতি রক্ষায় শুধুমাত্র পূজা অর্চনা আর পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালে দুবলারচরে রাস উৎসবে পূণ্যার্থী, দর্শনার্থী এবং পর্যটক মিলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এবছর ১০ থেকে ১৫ হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে তার ধারণা।