লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা গ্রামে তিস্তা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বর্ষার আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নিজের বসতবাড়ি ভাঙন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে আবু সাইদ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানান,তিস্তা নদীর পাড় থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর গোকুন্ডা গ্রামের আবাদি জমিসহ ৫-৬টি বসতবাড়ি বিলীন যায়। অনেক জমির ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
পাশাপাশি জেলার বাকি চার উপজেলায়ও বর্ষার আগেই তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা স্বপন জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া দোয়ানীর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ওই পানি দ্রুত নেমেও যাচ্ছে।’