তারা হলেন- মোমিনুল এবং মিয়া রব।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সদর থানা পুলিশের দুই এসআই যাচাই-বাছাই না করে সমাবেশে বাধা দেয়ায় বুধবার রাতে তাদেরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুলিশের হাতে মা-বোন ‘লাঞ্ছিত’: অপমানে কিশোরের আত্মহত্যা, এসআই প্রত্যাহার
এর আগে, বিকালে খুলনায় বিএনপি অফিসের সামনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। স্থানীয় ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিএনপির মহানগর ও জেলা অফিসের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে খুলনা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:টাকার বান্ডেলের ওপর ঘুমিয়ে থাকা সেই এসআই প্রত্যাহার
নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। যার অংশ হিসেবে ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বুধবার নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা হয়ে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু থানার মোড়ে জ্যাম থাকায় কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় চারপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন:গাছে বেঁধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন: নকলা থানার এসআই প্রত্যাহার
কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন আরও বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুমতি নেন কর্মসূচি পালনের। তারপরও সেখানে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। পরে অবশ্য এটি ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’