পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে-এ-আলম নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করেন।
উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের তহসিলদার সামসু-উদ-দোহা জানান, বড় কুড়িপাইকা গ্রামের আবুল বাশার সিকদার নামে এক ব্যক্তি লোকজন নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে কালন্দি খালের সরকারি দাগের প্রায় দেড় শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে। পরে দখলকৃত সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে সব নির্মাণ সামগ্রী জব্দ নিয়ে যান।
অভিযুক্ত আবুল বাশার বলেন, ‘সরকারি খাল দখলের কোনো প্রশ্নই আসে না। খাল পাড়ের দেড় শতক জায়গা আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। খারিজও আমার নামে হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আমাকে বলেছেন সার্ভিয়ার ও আমিন দিয়ে মাপ ঝোঁক করার পর আমার জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে-এ-আলম বলেন, ‘সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে সরকারি খালের ওপর তারা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ সময় তারা জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করলে আমি তাদের বলেছি এসিল্যান্ড দেখবে এখানে সরকারি কোনো স্বার্থ আছে কিনা। তবে দৃশ্যত দেখে মনে হয় এটি সরকারি খালের জায়গা।’