রবিবার গভীর রাতে উপজেলার কুমারখালীর সিকদার বাড়ি এলাকায় হামলার ঘটনায় সাতজনকে আটক করে হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুলিশের গাড়িতে আগুন-হামলা: দুই মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৫
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈকত হোসেন সানি, এসআই মাহামুদুল হাসান, এসআই মো. খাইরুল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল মো. মারুফ হাওলাদার।
এছাড়া অন্য আহতরা হলেন- কুমারখালী এলাকার আনোয়ার সিকদারের ছেলে হাসান সিকদার, শেখপাড়া এলাকার মিঠু দাসের ছেলে শাওন দাস।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৪ পুলিশ আহত
থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের সদস্যরা আসামি গ্রেপ্তার করতে কুমারখালী এলাকায় যায়। সেখান থেকে আসামি হাসান সিকদারকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে আসার সময় আসামি পক্ষের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলায় পুলিশের তিনজন এসআই, একজন এএসআই ও একজন পুলিশ কনস্টেবল ও আসামি পক্ষের দুজন আহত হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ২ পুলিশ আহত
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক আজিজুল্লাহ জানান, রাত ২টার পরে আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া দুজন আসামিকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, আসামি পক্ষের লোকজনের হামলায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে তিনজনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার দেয়া হয়েছে এবং দুজন ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদকবিরোধী অভিযানে ৬ পুলিশ আহত, আটক ৩
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এদিকে, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বার্মাশীল খেয়া ঘাট এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একজন পুলিশ সোর্সকে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত মামুন মোল্যা (২৬) দিঘলিয়ার সেনহাটি মধ্যপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বোমা বিস্ফোরণে ২ পুলিশ আহত
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিঘলিয়ার বার্মাশীল খেয়াঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তরা মো. মামুন মোল্যাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোর রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, ‘শুনেছি নিহত মামুন মোল্যা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোর্স ছিলেন। এখনও মামলা হয়নি। এছাড়া সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ‘ক্ষমতাসীন দখলদারদের’ হামলায় পুলিশ আহত
অপরদিকে, গত ১২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর লবনচরা থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫) দুর্বত্তের চুরিকাঘাতে নিহত হন। এঘটনায় লবনচরা থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।