এই বৃদ্ধার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরাম গ্রামে।
আরও পড়ুন: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কোরিয়ানদের অ্যাসোসিয়েশনের অনুদান
কদবানু বয়সের ভারে চলতে পারেন না, ঝড় বৃষ্টি আর শীতের হিম শীতল আবহাওয়ায় ভাঙা চালায় সীমাহীন কষ্টে জীবনের প্রতিটি ক্ষণ পার করছেন।
জানা গেছে, কদবানুর স্বামী ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। এক মেয়ে ছিল বিয়ে হয়েছে। রাস্তার পাশে টিনের একটি ভাঙা চালায় বসবাস করেন তিনি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। স্বামীহীন এ বৃদ্ধা নারীর থাকার স্থানটুকুও নড়বর।
আরও পড়ুন: শিশু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকা অনুদান
স্থানীয়রা জানান, বেড়াবিহীন ভাঙা চালায় অতি কষ্টে জীবন-যাপন করছেন কদবানু। তার চালাটি মেরামত করতে সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষদের অনুরোধ জানান তারা।
কদবানু বেগম বলেন, ‘তোমরা মোর (আমার) ছবি তুলেন, মোক (আমাকে) কাইয়ো (কেউ) দেহে (দেখে) না, ঘরের বেড়া নাই, ভাঙা ঘরোত (ঘরে) থাকং (থাকি), বৃষ্টি আইলে (হলে) চালার টেরা (ছিদ্র) দিয়ে পানি পড়ে সউগ (সব) ভিজি যায়। মোক (আমাকে) একনা (একটা) ঘর করি দেও বাবা। মুই (আমি) এই বয়সে চলবের পাংনা (পারি না), ঘরোত (ঘরে) থাকপের (থাকতে) পাংনা (পারি না), তাইলে মুই (আমি) কেমনে থাকিম (থাকব)।’
আরও পড়ুন : দেশে ব্যবসার সক্ষমতা উন্নয়নে এডিবির অনুদান
ঘর মেরামতসহ চলাফেরার স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানান তিনি।
তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর ইসলাম বলেন, ’কদবানুর বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। তাকে সহযোগিতা করেছিলাম। এখনতো তেমন কিছু নেই, দেখি সামনে যা আসবে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ‘কদবানুর খোঁজখবর নিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে।’