মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাকে মহানগরের শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে কানাইঘাট থানা থেকে তাকে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান এমসি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কানাইঘাটের লামা দলইকান্দি গ্রামের সালিক আহমদের ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা জানান, এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তার স্বামীকে দুজন আটকে রাখেন।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।