সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ২২৮ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকা থেকে রবিবার রাতে পাঠানো হয়। এতে একজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।
বাকি ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সোমবার রাতে পাওয়া গেছে। এই ১১৫টি নমুনার মধ্যে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৯টি নমুনা বাতিল হয়ে গেছে। বাকি ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি।
রবিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৭৬ জন ছিল, তাই রয়েছে। তবে এর বাইরে আগে আরও তিনজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন হোসেনপুর উপজেলা ও বাকি দুইজন তাড়াইল উপজেলার। এই তিনজন নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৭৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সোমবার নতুন করে কারো করোনাভাইরাস শনাক্ত না হলেও এদিন জেলায় আরও একজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। তার নাম ডা. আরিফ আহমেদ জনি। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক।
এর আগে গত শনিবার আরও একজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। তিনি ইটনা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ। তার বাড়ি ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেতেগা গ্রামে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হওয়া ১৭৯ জনের মধ্যে এক শিশুসহ তিনজন মৃত ব্যক্তি রয়েছে। তিনজনেরই মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০) এবং হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।
চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনে (বিডিএফ) তথ্যমতে, রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রবিবার পর্যন্ত ৩৭৩ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ২৮৩ জন এবং অন্য ছয় বিভাগে ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।