শুক্রবার জেলার ছোট-বড় সাপ্তাহিক হাটগুলো ছিল জমজমাট। ক্রেতা-বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো বিচরণ করছিলেন সেখানে।
বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস বিষয়ে প্রশাসনের জারি করা সতর্কতার পরও থেমে ছিল না কিছু।
ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এ বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকরা তাদের পণ্য নিয়ে আসেন। প্রান্তিক কৃষক কি করবে? সংসার তো চালাতে হবে। না এসে উপায় কী!’
এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত বলেন, ‘গ্রামে গ্রামে মাইকিং করেছি। পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন হাটবাজারে মাইকিং করছে। কিন্তু কীভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করব? প্রান্তিক চাষিরা কিছু দিন ঘরে থাকলেও এখন জীবিকার তাগিয়ে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বাজারে ছুটে আসছেন।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই করোনার ভয়াবহতা বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করা হচ্ছে, চলছে নিয়মিত মাইকিং। কিন্তু সবাই এগিয়ে না এলে শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়।’
জেলা সিভিল সার্জন মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৭২০ জন। এছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন তিনজন।