কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
শুধু দুধকুমার নদের পানি বাদে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সবক'টি নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৪/৫ দিন ধরে বন্যায় পানিবন্দী মানুষ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য ও তীব্র জ্বালানি সংকট। বন্যার কারণে স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে এখন মানুষের প্রয়োজন শুকনো খাবারের।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানিয়েছে, চলতি বন্যায় জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৮৮০ জন মানুষ। এছাড়াও ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা ও ২ হাজার শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৭৫ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আশ্রয়ের জন্য ৩৬১টি অস্থায়ী এবং ১৮টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য ৪টি উদ্ধার নৌকাসহ ২৭৫টি শ্যা ইঞ্জিনযুক্ত নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।
সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আমরা যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি