তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, বিভিন্ন চেয়ারম্যানের জাল সদন, নকল সিল ও দালাল চক্রের বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, তাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের দালালদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আমলে নিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের পাশের মার্কেট ও নগরীর রেইসকোর্স এলাকার একটি বাসায় বুধবার অভিযান চালায় র্যাব। এসময় পাঁচ দালালকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, বুধবার ও ২৯ আগস্ট দুদফা অভিযানে মোট ১৩ জন দালালকে আটক করা হয়েছে।
পাসপোর্ট অফিস দালাল মুক্ত করতে তাদের এ অভিযান অভ্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
আটক পাঁচ দালালকে নগদ জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট রুবাইয়া খানম।
এসময় পাসপোর্ট করতে আসা উপস্থিত ভুক্তভোগীরা জানান, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের বার বার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে অফিস থেকে। পরে বাধ্য হয়েই দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে হয়েছে তাদের।
সাধারণ মানুষ বলছে, কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম দিনদিন বেড়েই চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন অভিযান অব্যাহত থাকলে সুফল পাবে সাধারণ মানুষ।