শুক্রবার উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের জাওরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘বিপুলাসার এলাকায় আমাদের এক পজেটিভ রোগীর ১৮ দিন হয়ে গেছে। তাকে ১৪ দিন পরই সুস্থ ঘোষণা করার কথা। এমন অবস্থায় আমাদের নমুনা সংগ্রহকারী একটি দলকে ওই রোগীর পুনরায় নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেই। তবে কাদা মাটির কারণে গাড়ি রোগীর বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেনি। তাই রোগীকে তার গ্রামের পাশেই একটি স্কুল মাঠে মাস্ক, গ্লাভস পরে একা আসতে বলা হয়। সেভাবেই তিনি আসেন।’
‘তার নমুনা সংগ্রহের সময় স্থানীয় একদল লোক আমাদের দলকে ঘিরে ধরে। এ সময় তারা বলেন কার অনুমতি নিয়ে এখানে নমুনা সংগ্রহ করতে এসেছেন? ওই দলে দুজন নারী চিকিৎসকও ছিলেন। লোকগুলো তাদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন। পরে তাদের রক্ষার চেষ্টাকালে স্বাস্থ্য সহকারীকেও লোকগুলো মারার জন্য উদ্যত হয়,’ বলেন ডা. নিসর্গ।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় দলটি সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসে।
দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় চিকিৎসকরা আতঙ্কিত। স্থানীয়রা যেভাবে উত্তেজিত হয়েছেন তাতে যেকোনো কিছুই হতে পারত। এতে গ্রামে গিয়ে অনেকে নমুনা সংগ্রহ করতে চাইবেন না।
মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাফর ইকবাল জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।