লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে অবগত করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
লকডাউনের আওতায় যেসব এলাকা রয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেসব এলাকায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহর জুড়ে পুলিশি টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটি ওয়ার্ডে লকডাউন শুরু হয়েছে। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১ নম্বর ওয়ার্ড (থানাপাড়া-কমলাপুর), ২ নম্বর ওয়ার্ড (কুঠিপাড়া), ৫ নম্বর ওয়ার্ড (চৌড়হাস-ফুলতলা), ৬ নম্বর ওয়ার্ড (হাউজিং), ৭ নম্বর ওয়ার্ড (কালিশংকরপুর), ১৬ নম্বর ওয়ার্ড (বাড়াদী-মঙ্গলবাড়ী), ১৮ নম্বর ওয়ার্ড (মজমপুর-উদিবাড়ী) ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড (কুমারগাড়া-চেঁচুয়া)। সেই সাথে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডসহ বাহিরচর ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়নকে লকডাউন করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকাগুলো ২১ দিন লকডাউন থাকবে বলে জানানো হয়েছে ।
এদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঘরে বসে নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার ও জরুরি ওষুধ ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হটলাইন চালু করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে ৩৩৩ নম্বরে ডায়াল করে এ সহায়তা পাওয়া যাবে।
বুধবার পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় বহিরাগত বাদে ২৭৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২০৬ জন এবং নারী ৬৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৭১ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১৯৪ জন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটজন এবং খুলনায় চিকিৎসাধীন তিনজন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।