তাদের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল পর্যায়ের। এছাড়া, এক ট্রাফিক সার্জেন্টসহ দুজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত দায়িত্ব নেয়ার পর মাদকের বিষয়ে জেলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর ব্যবস্থা নেন, তেমনি পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশে বাহিনীর কারা কারা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত সেটাও খুঁজে বের করা নির্দেশ দেন। এরপর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করার পাশাপাশি পুলিশেও শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্তির দায়ে চাকরি হারালেন ১০ পুলিশ সদস্য
পুলিশ সুপার তানভীর সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন। পরীক্ষায় এসব সদস্যের নিয়মিত মাদক সেবনের রিপোর্ট আসে। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে নয়জনই মাদক সেবন করতেন বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। এছাড়া এক এসআইয়ের কাছে মাদক পাওয়া যায়।
মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য জেলার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে লাখ টাকা ছিনতাই
মাদকের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ার পর বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি তাদের অন্য জেলায় বদলি করা হয়। এখন তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের আটজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর ওই সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার তানভীর বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও চিরতরে মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠাতে চাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না।’