রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের এম এ রাজ্জাক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা এ অভিযোগ করেন। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
নিহত বিলকিস আক্তার কুষ্টিয়া শহরের উত্তর আমলাপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তিনি শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ইয়ারুল, হাসপাতালের স্টাফ উজ্জ্বল ও জসিমের বন্ধু কাদের এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তারা প্রত্যেকেই বিলকিসকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত বিলকিসের পরিবার এবং মামলার বাদী বিলকিসের মামাতো ভাই পারভেজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকার জিকে ক্যানেল থেকে পুলিশ বিলকিস আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মচারী কবুরহাট এলাকার জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জসিম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। পুলিশের দাবি, জসিম একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে লাশ নিয়ে গিয়ে বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকার জিকে ক্যানেলে ফেলে দেয়।