শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলপথে কুষ্টিয়া স্টেশন সংলগ্ন মিলপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মালবাহী ট্রেনটিতে মোট ২২টি বগি আছে। প্রতিটি বগি গমভর্তি ছিল। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন ২৬ মার্চ চালু
ট্রেনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কুষ্টিয়া স্টেশন থেকে ক্লিয়ারিং পাওয়ার পর তিনি ট্রেনটি নিয়ে কুমারখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। ২০০ গজ যাওয়ার পর মিলপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এসে তিনি দেখতে পান রেললাইনের ওপরে রেলের একটি ট্রলি দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। কিন্তু ট্রেন থেকে ট্রলিটি মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থান করায় তিনি তা দেখতে পেয়ে ব্রেক কষেও ট্রেন থামাতে পারেননি।’
প্রত্যক্ষদর্শী মিলপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রেললাইনের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। সংঘর্ষের সময় ট্রলিটি ট্রেনের নিচ দিয়ে পাঁচটি বগি পর্যন্ত চলে যায়। এক পর্যায়ে ট্রেনটি থেমে যায়। পরে পেছনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেন আটকে রেখে আন্দোলন
কুষ্টিয়ার স্টেশন মাস্টার এম এ জামান বলেন, ‘ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন তলব করা হয়েছে। তবে লাইন ২৪ ঘণ্টার আগে স্বাভাবিক করার সম্ভব হবে না।’
তার দাবি, ট্রলির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে ট্রেনের কোনো দায় নেই।
এ লাইনে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসসহ মোট চারটি ট্রেন যাতায়াত করে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: স্টেশন, রেল লাইন থাকলেও প্রায় ১ বছর ট্রেনের দেখা নেই চিলমারীতে