শুক্রবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
টানা চতুর্থ দফা বন্যায় গত দুই দিনে জেলায় দুই হাজার হেক্টরের অধিক আবাদি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। একই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
সদর উপজেলার মোগলবাসা, যাত্রাপুরের নুরানী মাদ্রাসা পাড়া ও হলোখানা ইউনিয়নের সারডোরে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে উলিপুরের বজরা ও থেতরাই, নাগেশ্বরীর কালিগঞ্জ ও কচাকাটা, রৌমারীর কর্তীমারী ও খেদাইমারী, চর রাজিবপুরের কোদালকাটি এবং মোহনগঞ্জে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল কুমার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আরও ৩-৪ দিন বিরাজ করবে।
কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ধরলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিন্তু নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে এ মুহূর্তে ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘গত দুই দিনে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ১০৪ হেক্টর আবাদি জমি নিমজ্জিত হয়ে গেছে।’