জেলার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতেও শীতজনিত রোগী প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শীতের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়ায় আক্রান্তে হয়ে ১০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। জেলা সদরের বাইরে নিউমোনিয়ায় ১২ শিশু ও ডায়রিয়ায় ২২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আর েপড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭২৬
তিনি জানান, আউটডোরে প্রতিদিন ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। গত কয়েকদিনে আনুপাতিক হারে এটি সবচেয়ে বেশি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য জেলার চেয়ে কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ এবার একটু বেশি। এবারে করোনার পাশাপাশি সর্দি, কাশি নিয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগও চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৫৬৮
এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া কনকনে ঠান্ডার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে ঠান্ডায় বেহালদশায় এ জনপদ। নিম্ন আয়ের ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কারণে এবারের বোরো চাষ কিছুটা বিলম্বিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৮৮২
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।