তাকে চিকিৎসার পাশাপাশি গত ২৮ মে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। তিনি খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
মৃত তানভির আলম বাবু (৩১) রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মো. আলাউদ্দীনের একমাত্র ছেলে। তানভির আলম ঢাকার একটি মোবাইল সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
গত ২৪ মে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে তাকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ‘তানভির আলমের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাকে করোনার সব ধরনের চিকিৎসার পাশাপাশি প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। প্লাজমা থেরাপিতে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু কোনো চিকিৎসাই কাজে দিল না। তাকে একজন ইন্টার্ন (যিনি সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন) প্লাজমা থেরাপি দিতে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ করেছিলেন। মঞ্জুর আলম নামে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ওই ইন্টার্নের রক্ত থেকে প্লাজমা (রক্তরস) নিয়ে তানভিরকে দেয়া হয়েছিল।’
তিনি জানান, তানভিরকে দেয়া প্লাজমার ফলাফল পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ সময় ছিল। রবিবার বিকাল পর্যন্ত এই পর্যবেক্ষণের সময় ছিল। কিন্তু তার আগেই সকালে তার মৃত্যু হলো।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, তানভীর আলম বাবু করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ মে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, গত ২৪ মে তানভীর আলম বাবুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১৭ মে ঢাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি আসেন তিনি। এ নিয়ে এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু ঘটলো।