মাঠ পর্যায়ে তথ্য না থাকায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসীকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ফলে প্রবাসীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনায় স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ৩০ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হলেও, তা মানছেন না অনেকেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতার তোয়াক্কা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লোকালয়ে। এতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদেশফেরত ১৬৯৪, হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬৯ জন!
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত চীন, ইতালি, ভারত, সিঙ্গাপুর, ওমান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে খুলনায় ফিরেছেন ২ হাজার ৫৪৬ জন প্রবাসী। এদের মধ্য বেশিরভাগই ভারত থেকে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা চলে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। আর অনেকেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সাথে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, মূলত ৬ মার্চের পর থেকে প্রবাসীদের যারা খুলনায় ফিরেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ ও তাদেরকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে প্রশাসনকে ভূমিকা নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেবে।
এদিকে বিদেশফেরতদের পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝেও সন্দেহজনক করোনার লক্ষণ অর্থাৎ জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিদেশ ফেরত প্রায় ৯ শতাধিক, হোম কোয়ারেন্টাইনে মাত্র ৯ জন!
তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনায় হোম কোয়ারেন্টাইন জোরদার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, বিদেশেফেরত ব্যক্তিদের কার্যকর হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। কোয়ারেনটাইনের নিদের্শনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনবহুল স্থানে বিচরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারেনটাইনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে সরকারিভাবে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন স্থাপনায় আশ্রয় নিতে হবে।
সকল ব্যবস্থার সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে এবং হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি প্রতিদিন দুবার করে পর্যবেক্ষণ করার কথাও জানান জেলা প্রশাসক।
এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সহায়তা চেয়েছে প্রশাসন।