এ ঘটনায় রকিব উদ্দিন পান্নু বাদী হয়ে ট্রাফিক পরিদর্শক রেজাউল বাশারসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্তে কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নগরীর জোড়াগেট এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকরা। পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন সাংবাদিকরা।
হামলার শিকার সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু বলেন, ‘জোড়াগেট এলাকায় ওয়াসার পাইপ লিকেজ হয়ে পানি বের হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে মোবাইলে ওই চিত্র ধারণ করছিলাম। এ সময় কর্মরত খুলনা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের চায়না প্রকৌশলী আকস্মিকভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তখন আমি নিজেকে বার বার সাংবাদিক বলে পরিচয় দিলেও তারা থামেননি। একপর্যায়ে ৭১ টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান সোহেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করলে তারা ক্যামেরাও ভাঙচুর করে।’
‘খবর পেয়ে কেএমপির ট্রাফিক পরিদর্শক রেজাউল বাশার উল্টো হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আমাকে থানায় নেয়ার চেষ্টা করেন এবং মারধর করেন। এ সময় পান্নুকে রক্ষা করতে গেলে ৭১ টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান সোহেলের ওপরেও হামলা চালায় ঠিকাদারের লোক ও পুলিশ। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়,’ বলেন তিনি।
পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মেয়র এ সময় দোষী পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, ইন্সপেক্টর রেজাউল বাশারকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, সাংবাদিক পান্নুর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দোষীদের ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।