গাজীপুরের প্রয়াত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আয়োজিত স্মরণসভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, যুবলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলসহ নেতারা বক্তব্য দেন। এছাড়াও ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি, উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাদী শামীম, কাজী ইলিয়াস, জামিল হাসান দুর্জয়, উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভিন, মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, মহিলা নেত্রী নীলিমা আক্তার লিলি, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাক আহমেদ কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়: মন্ত্রী
গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় জন্ম নেয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উলাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের সময় টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের পর তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে দুইজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রত্যাশা করা হয় আগামী মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেয়া রায়ে ছয়জনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। এ হত্যা মামলাটি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের করা আলাদা লিভ টু আপিলের বিচারাধীন আছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যানজটে দুর্ভোগ