ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দুই দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন মেহেরপুরের অসংখ্য মানুষ। এরসঙ্গে মোবাইল ফোনে নেই চার্জ, তার সঙ্গে আছে নেটওয়ার্ক সমস্যাও।
রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন জেলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে লঞ্চ চলাচল পুনরায় শুরু
সোমবার(২৭ মে) দিবাগত রাতে মেহেরপুর জেলা শহর ও গাংনী পৌরসভাবাসী সামান্য বিদ্যুৎ পেলেও এখন পর্যন্ত গ্রামগুলো রয়েছে অন্ধকারে।
নওপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রহমত আলী বলেন, দুই দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে পানি নেই। বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। বিদ্যুৎচালিত মোটরের উপর পানির সরবরাহ নির্ভর করে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় অকেজো হয়ে গেছে জনজীবন।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম কম সবুজ মোল্ল্যাহ বলেন, রিমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের একটি খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া লাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছের ডালপালা সরানোর পর লাইন দিতে পারব। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পুনসংযোগ দিতে।
গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পোল্টি খামারি মিজানুর রহমান জানান, রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম। দ্রুত বিদ্যুৎ না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ বিজয় কুমার হালদার বলেন, রিমালের প্রভাবে জেলায় ৪৫ হেক্টর জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে। মাঠের অন্যান্য ফসল বিশেষ করে পাটের ব্যাপক উপকার হয়েছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমারের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ