পটুয়াখালীতে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৭৬০টি ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ১৪০টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৫২০টি।
এছাড়া জেলায় ৯ হাজার ১০৫টি পুকুর, ৭৬৫টি মাছে ঘের এবং ১২০টি কাঁকড়া ঘের প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের সময় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রিষ্টান পল্লী, পশ্চিম হাজীপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
জোয়ারে জালালপুর গ্রাম সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ৯ হাজার ১০৫টি পুকুর, ৭৬৫টি মাছের ঘের এবং ১২০টি কাঁকড়ার ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য চাষিদের ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৩ হাজার ৫০০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
কলাপাড়ার ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঝড়ে অন্তত ৭৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৪০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের কলাপাড়া কার্যালয়ের ডিজিএম সজীব পাল বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না।
এছাড়াও পটুয়াখালীতে ৩ কিলোমিটার ও কলাপাড়া উপজেলায় ৪ কিলোমিটার বাঁধের আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সোমবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়তা পাবে। এদিকে জেলার বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সাতক্ষীরায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি, মৃত্যু ১