ঘূর্ণিঝড় রিমাল
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১২৭টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১৩২
রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩২টিতে।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বন থেকে ১২৭টি হরিণ ও ৪টি বন্য শুকরের মৃতদেহসহ একটি অজগর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বনের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলার চর, নারিকেল বাড়িয়া ও নীলকমল থেকে মৃত প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১১১টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১১৬
পাশাপাশি ১৮টি হরিণ অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বনে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করছে।
তবে সুন্দরবন বিভাগ এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে তল্লাশি করে প্রতিদিন তারা মৃত অবস্থায় হরিণ উদ্ধার করছে। শুক্রবারও বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা ৩১টি মৃত হরিণ উদ্ধার করে। এর মধ্যে কয়েকটি হরিণের দেহ অনেকাংশে পচে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এনিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা ১২৭টি মৃত হরিণ, ৪টি বন্য শূকর ও একটি অজগর উদ্ধার করে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে নদীতে ভাসতে থাকা জীবিত ১৮টি হরিণ উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এখনও বনের মধ্যে বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি করছে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, রিমালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানি বনের মধ্যে আটকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বনের কোথাও আর কোনো বন্যপ্রাণী মরে পড়ে আছে কি না তা ঘুরে দেখছে বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে আরও ৪৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার
সুন্দরবনে আরও মৃত ১২টি হরিণসহ ২ দিনে ৫১টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার
৬ মাস আগে
পাঁচ দিনেও চালু হয়নি দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট
পাঁচ দিনেও চালু হয়নি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংযোগ সড়কের মাথা ধসে তলিয়ে র্যামসহ পন্টুনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ কারণেই রবিবার থেকে ঘাটটি এখনো বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে স্বস্তির ঈদ যাত্রা
ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক বা ঘাট তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং র্যামসহ পন্টুনের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি)।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএর তিন থেকে চারজন শ্রমিক ইটের আদলা বস্তা ভর্তি করে সংযোগ সড়কের মাথায় ফেলছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুন এক পাশে কাত হয়ে আছে। ফলে ঘাট দিয়ে কোনো যানবাহন পারাপার করা যাচ্ছে না। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরিতে গাড়ি উঠানামা করছে। দৌলতদিয়ার ৭টির মধ্যে মাত্র দুটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর দাবি, পন্টুনটি সরিয়ে ফেলা হলে তিন দিনের মধ্যে ঘাটটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা সম্ভব। বর্তমানে ৩ ও ৪ নম্বর এই দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে।
অপেক্ষমাণ ঢাকাগামী জামান পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগে যখন অনেক গাড়ির চাপ ছিল তখন সব সময় চার থেকে পাঁচটি ঘাট চালু থাকত। এখন আগের মতো গাড়ির চাপ না থাকলেও নিয়মিত অন্তত তিনটি ঘাট সচল থাকা দরকার। সেখানে মাত্র দুটি ঘাট সচল রয়েছে। যে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ঘাটে এসে অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী খোরশেদ মন্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন রাতে ঘাট বন্ধ হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় আমরা বেকার বসে আছি। গাড়ি বা যাত্রী পারাপার না হওয়ায় কোনো দোকানে বেচাকেনা নেই। যে কারণে ঘাটের প্রায় ২০টি দোকানের সবাই বেকার বসে আছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৭ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে ঘাটটি দ্রুত প্রস্তুত করে দিতে অনুরোধ করেছি। ঘাট প্রস্তুত হলেই যানবাহন পারাপার শুরু হবে। তবে আমাদের পন্টুন সরাতে কিছু সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইটের আদলা ও বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে সংযোগ সড়ক অনেকটা প্রস্তুত করেছি। পন্টুনটি না সরানোর কারণে অবশিষ্ট কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি তাদের পন্টুনটি সরিয়ে ফেললে মাত্র তিন দিনের মধ্যে আমরা ঘাটটি প্রস্তুত করতে পারব।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১১১টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১১৬
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৬টিতে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল পর্যন্ত বন থেকে ১১টি হরিণ এবং ৪টি বন্য শুকরের মৃতদেহ এবং একটি অজগর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বনের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলার চর, নারিকেল বাড়িয়া ও নীলকমল থেকে মৃত প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি ১৮টি হরিণ অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বনে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করছে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হরিণ
তবে সুন্দরবন বিভাগ এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে তল্লাশি করে প্রতিদিন তারা মৃত অবস্থায় হরিণ উদ্ধার করছে। শুক্রবারও বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা ১৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার করে। এর মধ্যে কয়েকটি হরিণের দেহ অনেকাংশে পচে গেছে। এনিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১১১টি মৃত হরিণ, চারটি বন্য শূকর, এবং একটি অজগর উদ্ধার করে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে নদীতে ভাসতে থাকা জীবিত ১৮টি হরিণ উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এখনও বনের মধ্যে বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি করছে। দুয়েকদিনের মধ্যে তল্লাশি শেষ করা হবে। এর পরে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, রিমালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানি বনের মধ্যে আটকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বনের কোথাও আর কোনো বন্যপ্রাণী মরে পড়ে আছে কি না তা ঘুরে দেখছে বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে আরও ৪৫টি মৃত হরিণ উদ্ধার
সুন্দরবনে আরও মৃত ১২টি হরিণসহ ২ দিনে ৫১টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার
৬ মাস আগে
সুন্দরবনে আরও মৃত ১২টি হরিণসহ ২ দিনে ৫১টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে মিলেছে আরও ১২টি মৃত হরিণ। এনিয়ে দুই দিনে সুন্দরবন থেকে মৃত ৫১টি হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বুধবার (২৯ মে) সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা ও কচিখালী এলাকা থেকে বন বিভাগের সদস্যরা মৃত অবস্থায় হরিণগুলো উদ্ধার করে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোর নেতৃত্বে বুধবার সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করছে। তবে সুন্দরবন বিভাগ এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, তিনি নিজে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। বনের কটকা থেকে মৃত অবস্থায় দুটি হরিণ, কচিখালী থেকে ১০টি হরিণ এবং একটি বন্য শূকর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ৩৯টি মৃত হরিণ ও একটি বন্য শূকর সুন্দরবন থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃত হরিণ ও বন্য শূকর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে জীবিত অবস্থায় ১৭টি হরিণ উদ্ধার করা হয়।
মিহির কুমার দো আরও বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রবিবার এবং সোমবার দিনে ও রাতে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট পানি বেড়ে যায়। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত করে। পানিতে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ পালার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর অনেক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলোচ্ছাসে সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী আবাস্থল হারিয়ে ফেলে। বনপ্রাণী ও বনের গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি সরজমিনে দেখে তালিকা করার জন্য খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বনের ওই কর্মকর্তারা বুধবার সুন্দরবন সরজিমেন পরিদর্শন করছেন। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হরিণ
বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ২ দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন মেহেরপুরের অনেক মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দুই দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন মেহেরপুরের অসংখ্য মানুষ। এরসঙ্গে মোবাইল ফোনে নেই চার্জ, তার সঙ্গে আছে নেটওয়ার্ক সমস্যাও।
রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন জেলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে লঞ্চ চলাচল পুনরায় শুরু
সোমবার(২৭ মে) দিবাগত রাতে মেহেরপুর জেলা শহর ও গাংনী পৌরসভাবাসী সামান্য বিদ্যুৎ পেলেও এখন পর্যন্ত গ্রামগুলো রয়েছে অন্ধকারে।
নওপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রহমত আলী বলেন, দুই দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে পানি নেই। বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। বিদ্যুৎচালিত মোটরের উপর পানির সরবরাহ নির্ভর করে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় অকেজো হয়ে গেছে জনজীবন।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম কম সবুজ মোল্ল্যাহ বলেন, রিমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের একটি খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া লাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছের ডালপালা সরানোর পর লাইন দিতে পারব। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পুনসংযোগ দিতে।
গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পোল্টি খামারি মিজানুর রহমান জানান, রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম। দ্রুত বিদ্যুৎ না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ বিজয় কুমার হালদার বলেন, রিমালের প্রভাবে জেলায় ৪৫ হেক্টর জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে। মাঠের অন্যান্য ফসল বিশেষ করে পাটের ব্যাপক উপকার হয়েছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমারের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৫ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাঁচটি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলের মানুষ। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রবিবার সকাল থেকে দাকোপ ও কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ অংশ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অতি ভাঙন প্রবণ এলাকায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ১০ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণার পরই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
চালনা মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত: কোন সংকেতের কী অর্থ?
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার দুর্গম ঢাল চর ও চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে জোয়ারের অন্তত ৫ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কাঁচাঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাধ হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, তার ইউনিয়নের কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। সেখানে জোয়ারে পানিতে প্রায় ১২ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নদী উত্তাল হওয়ায় সেখান থেকে মূল ভূখণ্ডে মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু লোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার এলাকার বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চরে অতি জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে চর পাতিলাসহ বিভিন্ন এলাক প্রায় সাত হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। উঁচু স্থানে গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে কাচা ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাটে নিম্ন অঞ্চল, কলাতলি, চর সামসুদ্দিন ও কাজির চর, চর নিজাম চার থেতদকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা নদী।
নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। চলুন, ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণের কারণ ও পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় যে কারণে
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য আগাম প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করাটাই নামকরণের প্রধান উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনসাধারণের কথা ভেবে তাদের সতর্কতার সুবিধার্থে নামটি নির্বাচন করা হয়। তারা যেন খুব সহজেই নামটি বুঝতে ও মনে রাখতে পারে সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয়। এতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সতর্কতা জারি করার সময় সহজে দুর্যোগের তীব্রতা বোঝানো সম্ভব হয়।
নামকরণের আরও একটি কারণ হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা। একই সময়ে একাধিক ঝড় সক্রিয় থাকলে বা আগে কোনো দুর্যোগের সঙ্গে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে আলাদা নাম সুবিধাজনক। এ সময় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হয়। এমনকি ট্র্যাকিং ও পদ্ধতিগত দিক থেকে উন্নয়নসাধনের জন্যও নামকরণের বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পদ্ধতি
Q, U, X, Y ও Z- এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালার ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে ছেলে ও মেয়েদের নাম দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল আলবার্টো, আর পরের ২টি ছিল ‘বেরিল’।
তবে কোনো বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। যেমন: হারিকেন আলফা বা বিটা।
এভাবে ৬ বছরের জন্য একত্রে অনেকগুলো নাম নির্ধারণ করে রাখা হয়। এগুলোর প্রতি ৬ বছর পর পর পুনরাবৃত্তি ঘটে। যেমন ২০০৮ সালের নামগুলো ২০১৪ সালের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়গুলো তালিকা থেকে বাদ যায়। যেমন: ২০০৫ সালের ‘ক্যাটরিনা’ ২০১১ সালে পুনরাবৃত্তির সময় বাদ দিয়ে নতুন নাম রাখা হয় ‘ক্যাটিয়া’।
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর এই নামকরণ উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়ের বিধি অনুযায়ী হয়ে আসছে। এই বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: মধ্যরাতে জারি হতে পারে মহাবিপদ সংকেত
২০২০ সালে এই অঞ্চলের মোট ১৩টি দেশ থেকে ১৩টি নামসহ মোট ১৬৯টি নাম সামনের বছরগুলোর জন্য প্রকাশ করা হয়।
নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। ছেলে বা মেয়ের নামে হলেও এই নামগুলোর কোনোটিই নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নামকে উদ্দেশ্য করে করা হয় না। এখানে নাম নির্ধারণের সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হয়, সেগুলো হচ্ছে-
> দ্রুত যোগাযোগের সুবিধার্তে নামে অক্ষরের সংখ্যা কম হতে হবে> উচ্চারণে সহজ হওয়া আবশ্যক> নির্দিষ্ট অঞ্চলে সুপরিচিত হতে হবে> একই নাম একাধিক অঞ্চলে ব্যবহার করা যাবে না> ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেন যারা
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব স্ব অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে। এগুলো হলো-
> ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি> ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন> আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি> আরএ-৪ হারিকেন কমিটি> আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি
ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি (আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া দপ্তর), ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।
এই অঞ্চলটি ভারত মহাসাগরের উত্তরে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুপুর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
বাংলাদেশে আসন্ন কিছু ঘূর্ণিঝড়
বর্তমানে বাংলাদেশ ও এর নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নাম রিমাল। নামটির প্রস্তাব করে ওমান, আরবিতে যার অর্থ ‘বালি’। এটি ২০২০ সালে ওই ১৩ দেশের প্রস্তাবিত ১৬৯টি নামের একটি।
‘রিমাল’ ছাড়াও অদূর ভবিষ্যতে আসন্ন উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামগুলো হলো- আসনা (পাকিস্তান), ডানা (কাতার), ফেঙ্গাল (সৌদি আরব), শক্তি (শ্রীলঙ্কা), মন্থ (থাইল্যান্ড), সেনিয়ার (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ও দিত্ত্ব (ইয়েমেন)।
পরিশেষ
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পেছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির এই কার্যক্রম ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে আগাম সচেতনতারই নামান্তর। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় নিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
৬ মাস আগে